জাল টাকা চেনার জন্য কিছু যন্ত্রপাতি ও বিশেষ ধরণের কলম আছে। তবে সাধারণ কিছু উপায়ে জাল টাকা চেনা যায়। ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের টাকা বেশির ভাগ জাল হয়ে থাকে। তাই এই টাকার নোটগুলি লেনদেনের আগে অবশ্যই সাবধান হতে হবে।
নীচের কিছু পদ্ধতিতে জাল টাকা চেনা যাবে:
১. আসল নোটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, নোটের মূল্যমান ও উভয় পিঠের অধিকাংশ লেখা ও ডিজাইনের বিভিন্ন অংশ হাতের আঙ্গুলের স্পর্শে অসমতল বা উঁচু-নিচু অনুভূত হবে। অমসৃণ মুদ্রণের এই বৈশিষ্ট্য ফটোকপি বা অফসেটে ছাপা জালনোটে থাকবেনা অথবা অসমতল ছাপার রঙ নখের সামান্য আচরেই উঠে যাবে।
২. আসল নোট আলোর বিপরীতে ধরলে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ও মূল্যমান সম্বলিত নিরাপত্তা সূতা এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও প্রতিকৃতির নিচে অতি উজ্জ্বল ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপে প্রতিটি নোটের মূল্যমান জলছাপ হিসেবে দেখা যাবে। এছাড়াও নোটের জলছাপের বামপাশে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো উজ্জ্বলতর ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপ লক্ষ্যণীয় হবে। সরাসরি তাকালে রঙ পরিবর্তনশীল হলোগ্রাফিক সূতায় বাংলাদেশ ব্যাংকে লোগো ও অংকে মূল্যমান লেখা রূপালী দেখাবে। কিন্তু পাশ থেকে দেখলে বা ৯০ ডিগ্রিতে নোট ঘুরালে তা কালো দেখাবে।
৩. নোটের সুতায় হালকা করে নখের আঁচড় দিলে আসল নোট হলে উঠবে না। ফটোকপি বা অফসেটে ছাপা জালনোটের সূতা নখের আঁচড়ে উঠে যাবে।
৪. আসল নোটের যে দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি রয়েছে সেদিকে উপরের ডানদিকের কোনায় নোটের মূল্যমান লেখাটি সরাসরি তাকালে সোনালী এবং তির্যকভাবে তাকালে সবুজ রং দেখা যাবে যা ৫০০ টাকা নোটের ক্ষেত্রে সরাসরি তাকালে লালচে এবং তির্যকভাবে তাকালে সবুজ রং দেখা যাবে। ফটোকপি বা অফসেটে ছাপা জালনোটের ক্ষেত্রে এ রঙের পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হবে না।